
জিরা এর ১৮টি ঔষধীয় গুনাগুন জেনে নিনঃ
উপকরণঃ পানি-১ লিটার এবং জিরা-দেড় চা চামচ
জিরাপানি তৈরির নিয়মঃ
চুলায় একটি হাঁড়িতে পানি ফুটিযে জিরা দিয়ে আরাে ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে পানি পােনে ১ লিটার হলে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করতে হবে। এটি চাইলে কুসুম গরম বা বরফ শীতল দুইভাবেই খাওয়া যায়। আরাে সুস্বাদু করার জন্য এর সাথে সামান্য চিনি, বিট লবন, গােলমরিচ 'গুঁড়াে, লেবুর রস, ধনেপাতা/পুদিনাপাতা কুচি ও চাইলে কাঁচা আম যােগ করে ব্লেন্ড করে নেয়া যায়।
জিরার শরবত তৈরির উপকরণঃ
জিরার শরবত তৈরির উপকরণঃ
তেঁতুল গুলা ২ টেবিল চামচ,
আখের গুড় ৫ টেবিল চামচ
চিনি ২ টেবিল চামচ
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
জিরা হালকা করে ভাজা ২ চা চামচ
বিট লবণ ১ চা চামচ
৬ কাপ সাদা গােল মরিচ গুড়া হাফ চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে আখের গুড় ও চিনি পানিতে গুলে নিন। তারপর তেঁতুলের মাড় ও লেবুর রস মিশিয়ে ছেকে নিন। এবার বাকি সমস্ত উপকরণ একসাথে মিশিয়ে বরফ কুচি দিয়ে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন জিরা শরবত।
জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
জিরা পানি পানের ফলে এটি দেহকে ঠাণ্ডা করতে এবং দেহে উৎপন্ন অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমিয়ে দেহ সতেজ করে। এটি খুব স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে পেটের দূষিত পদার্থ কমাতে সহায়তা করে। ডিরােপানি স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরছি-
১) ওজন কমাতে জিরাপানিঃ এর একটি উপকারিতা হচ্ছে ওডন। কমাতে সাহায্য করে। দিনে দু'বার এই ডিরাপানি খেলে এটি পেটের ক্ষুধা। কমিয়ে দেয় যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটা। কমে যায়।
২) রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ জিরা আয়রনের চমৎকার একটি উৎস। যা রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতার কাজ পরিচালনা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এতে আয়রনের পাশাপাশি বেশ ভালাে পরিমান ভিটামিন এ ও সি থাকে যা থেকে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সুবিধা পাওয়া যায়।
৩) রক্তশূন্যতার চিকিৎসায়ঃ জিরাতে থাকা আয়রন রক্তস্রোতে অক্সিজেন বহনকারী হিমােগ্লোবিনের পরিমান বৃদ্ধি করে। এছাড়া জিরা পানি আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতার জন্য বেশ উপকারী।
৪) অ্যাসিডিটি কমাতেঃ 'এটা অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য ভালাে। | যেকোনাে ভারী খাবার খাওয়ার পর। ধীরে ধীরে ডিজরাপানি খেয়ে নিলে। অ্যাসিডিটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৫) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ ডিজরাপানি পানের আর একটি স্বাস্থ্য । উপকারিতা হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে। মুক্তি। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। তারা দিনে দুইবার এই পানীয়টি পান। করতে পারেন।
৬) গ্যাসের সমস্যা দূরীকরণেঃ পেটের গ্যাস কমাতে জিরাপানি সাহায্য করে।যদি গ্যাসের কারনে পেট ফুলে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে জিরাপানি |
'৭) বমি বমিভাব দূর করতেঃ জিরাপানি বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে তাই গর্ভবতী নারীরা এটি পান করতে পারেন মর্নিং সিকনেস' থেকে মুক্তি পেতে।
৮) পানিশূন্যতা দূরীকরণে জিরাপানিঃ এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে একটি হচ্ছে গরম কালে এটি দেহকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এটিতে স্বাস্থ্যসম্মত মশলা থাকার কারনে এটি প্রাকৃতিক ভাবে দেহের তাপমাত্রা কমায়।
৯) ভালাে ঘুমের জন্যঃ যাদের মাঝে ইন্সমােনিযা বা ঘুমের। সমস্যা আছে তাদের জন্য জিরাপানি। খুব উপকারী। নিয়মিত খেলে ভালাে ঘুম | হয।
১০) স্মৃতিশক্তি উন্নত করেঃ জিরা মস্তিস্কের শক্তিকে উন্নত করে।তাই অল্প বয়স থেকেই যদি ডিজরাপানি খাওয়া। যায় তাহলে তা উল্লেখযােগ্য ভাবে। স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে তীক্ষ করে।
১১) শরীরের দূষণ দূরীকরণেঃ জিরাপানি যকৃতের ও পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী জিরার মাঝে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট দেহের এবং ভেতরের অঙ্গের বিষাক্ততা দূর করে।
১২) গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের বাড়তি পুষ্টির জন্যঃ ডিরাতে থাকা আয়রন গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েদের জন্য খুবই ভালাে। 'এটা গর্ভস্থ ভ্রুণের, বাচ্চার এবং মাযের । ' আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।
১৩) তলপেটের ব্যাথা কমাতেঃ মাসের বিশেষ দিনগুলােতে তলপেটে ব্যাথা অনুভব করেন অনেক নারীই, তাদের এই ব্যাথা কমাতে অল্প অল্প করে। সারাদিন জিরাপানি খেতে পারেন।
১৪) ত্বকের জন্য জিরা পানির স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ যখন দেহ আভ্যন্তরীণভাবে স্বাস্থ্যবান থাকে তা ত্বকের মাঝে প্রতিফলিত হয়। এই জিরা পানি দেহকে আভ্যন্তরীণ ভাবে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান করে তাই। করে এর ফলে ত্বক এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পরে
১৫) ত্বকের পুষ্টি যােগাতেঃ আগেই বলা হযেছে জিরাপানি। হজমক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় বলে এটা ত্বককে প্রযােজনীয় পুষ্টি উপাদান শুষে ' নিয়ে স্বাস্থ্যবান ও পুষ্ট থাকতে সাহায্য করে।
১৬) অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করেঃ নিয়মিত জিরা পানি পানে দেহ পর্যাপ্ত । পরিমানে ভিটামিন এ,সি ও ই পায়। ' যেগুলাে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টিএডিং । গুনাগুনের জন্য পরিচিত। এটা পান করার ফলে ত্বক পরিপূর্ণ হয় এবং অকাল বুড়ীযে যাওয়া প্রতিরােধ করে।
১৭) ব্রণের চিকিৎসায়ঃ জিরা পানি ব্রণের জন্য প্রাকৃতিক ঔষধের কাজ করে।
১৮) ত্বকের আরামের জন্যঃ জিরাপানি ত্বকের জ্বালাপােড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ
যাবতীয় আপডেট তথ্য সম্পর্কে জানুনঃ
1 মন্তব্যসমূহ