
পেয়ারার ২৪টি ঔষুধি গুনাগুন জেনে নিনঃ
পেয়ারায় পুষ্টিগুণঃ
পেয়ারায় অনেক বেশি ভিটামিন সি ও এ রযেছে। একটি পেয়ারাতে সমান আকৃতির একটি কমলার ৪ গুন এবং একটি লেবুর ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রযেছে। এতে রয়েছে ভিটামিন বি২, কে, আঁশ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস। আয়রন, কপার, ফোলেট ও ম্যাঙ্গানিজ পেয়ারায় কোনাে চর্বি নেই।পেয়ারার জুস একটি শক্তিদায়ক পানীয়।
উপকারিতাঃ
১) মুখ গহ্বরের পরিচর্যায় দাঁতে প্লাক জমা মুখের ভেতরের একটি বড় সমস্যা। পেয়ারা পাতা এন্টিপ্লাক বিশিষ্টের জন্য খুব কার্যকর। ভেষজবিদরা মুখ গহ্বরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কচি পেয়ারা পাতার পেস্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
২) এই পাতার প্রদাহনাশক, বেদনাশক এবং জীবানুনাশক গুণাগুণের জন্য এটা মাড়ির প্রদাহ, মাড়ির ফোলা, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, দাঁতের ব্যাথা, মুখের ঘা সারাতে বেশ কার্যকর।
৩) পেয়ারা গাছের ডাল দাঁতের মাজন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।।
৪) প্রতিদিন ১/২ টি পেয়ারা পাতা মুখে নিয়ে চিবালে ভালাে ফল পাবেন।
৫) পেয়ারা পাতা দিয়ে মাউথওয়াশ তৈরি করতে পারেন, ৫/৬টি পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই পানি দিয়ে দিনে ১/২ বার কুলি করতে পারেন।
'৬) উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত 'পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে, কারণ পেয়ারাতে উচ্চ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং দ্রবনীয় আঁশ থাকে।
'৭) পেয়ারাতে উচ্চ পটাশিয়াম থাকায়। নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
'৮) নিয়মিত লাইকোপিন সমৃদ্ধ। গােলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রােগের ঝুঁকি কমায়।
৯) পেয়ারা পাতা ভালাে করে শুকিযে চা বানিয়ে খেলে সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল,খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়।
১০) ডায়রিয়ার চিকিৎসায় পেয়ারা পাতার চা ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংঘটিত ডায়রিয়া প্রতিরােধ করে।
১১) পেয়ারার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণের জন্য হজম ক্রিয়া ভালাে হয়, এটা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং এর আঁশ হডম ও ' নিঃসরণকে উন্নত করে।
১২) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেকবছর। ধরে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় চীনা ঔষধে পেয়ারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
১৩) উচ্চআঁশ ও নিম্নগ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পেয়ারা রক্তের সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
১৪) ডায়াবেটিসের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে। যারা আছেন তারা পেয়ারা পাতার চা ও খেতে পারেন।
'১৫) কচি পেয়ারা পাতা শুকিযে মিহি গুঁড়াে করে এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।
১৬) দেহের প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি সমদ্ধ পেয়ারা দেহকে ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশিসহ অসংখ্য রােগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে দেহের প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
'১৭) ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় পেয়ারাতে থাকা বেশ কিছু যৌগিক পদার্থ যেমনলাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং বেশ কিছু পলিফেনল থাকাতে এর রয়েছে ক্যান্সার ও টিউমার বিরােধী। নিয়মিতভাবে পেয়ারা খেলে বিভিন্ন 'ধরণের ক্যান্সার প্রতিরােধে সহায়তা করে।
'১৮) পেয়ারাতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, কর্নিযাকে সুস্থ, স্বচ্ছ রাখতে ও চোখের । ' কোষকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রাতকানা রােগ প্রাতরােধে সাহায্য করে।
১৯) জ্ঞানশক্তিকে উদ্দীপিত করতে পেয়ারার দ্বারা মস্তিস্কের মতাে একটি 'গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সুস্থ রাখা সম্ভব। এই সেরা খাবারটি জ্ঞানশক্তিকে উদ্দীপিত করার সাথে সাথে মনােযােগকে তীক্ষ্ন করে।
'২০) শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারণে এ ফলটি মানসিক ও মস্তিস্কের কার্যক্রমকে উন্নত করে।
২১) পিয়ারাতে থাকা ভিটামিন বি৩ ও বি৬ মস্তিস্কের রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
২২) পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম মস্তিস্কের তড়িৎ পরিবহনে সাহায্য করে।
২১) পিয়ারাতে থাকা ভিটামিন বি৩ ও বি৬ মস্তিস্কের রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
২২) পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম। মস্তিস্কের তড়িৎ পরিবহনে সাহায্য করে । যা চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে বাড়ানাের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২৩) ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ ও ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা করে। তাই সুন্দর ত্বক পেতে পেয়ারা খেতে পারেন অথবা। কচি পাতা বা পেয়ারা পেস্ট করে মুখে মাখতে পারেন।
২৪) থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে থাইরয়েড জন্য উপকারী। কপারের খুব ভালাে উৎস হচ্ছে পেয়ারা।
আরো পড়ুনঃ
যাবতীয় আপডেট তথ্য সম্পর্কে জানুনঃ
1 মন্তব্যসমূহ