উচ্চতা অনুসারে আদর্শ ওজন কত হওয়া উচিত?
শরীর সুস্থ সবল রাখতে, শরীরের নমনীয়তা ও ঘূর্তি অটুট রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। শরীরের ওজন যদি খুব বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। আবার শরীরের ওজন যদি কমে যায়, তাহলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের ওজনের একটা মাপকাঠি রয়েছে। এর থেকে ওজন কমলেও সমস্যা, আবার বাড়লেও মুশকিল। উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত, তা না জেনে যদি ওজন কমাতে বা বাড়াতে যান, সে ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হবে আপনাকে। তাই আমাদের জেনে রাখা জরুরি, শারীরিক উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন ঠিক কত।
আদর্শ ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তির ওজন কিলােগ্রামে মাপা হয় এবং উচ্চতা মিটারে মাপা হয়। ওজনকে উচ্চতার বর্গফল দিয়ে ভাগ করা হয়। এই ভাগফলকেই বিএমআই (BMI) বলা হয়। বিএমআই ১৮ থেকে ২৪-এর মধ্যে হলে তা স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়।
আসুন এবার জেনে নিন আপনার উচ্চতা। অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিতঃ উচ্চতা: ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৩৯-৪৯ কিলােগ্রাম/ মহিলা: ৩৬-৪৬ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা:৪ ফুট ৮ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪১-৫০ কিলােগ্রাম / মহিলা:৩৮-৪৮ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা:৪ ফুট ৯ ইঞ্চি-> পুরুষ:৪২-৫২ কিলােগ্রাম/ মহিলা: ৩৯-৫০ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৪ ফুট ১০ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৪-৫৪ কিলােগ্রাম/ মহিলা:৪১-৫২ কিলােগ্রাম
উচ্চতা: ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৫-৫৬ কিলােগ্রাম / মহিলা:৪২-৫৩ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৪৮-৬০ কিলােগ্রাম / মহিলা:৪৫-৫৭ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ২ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫০-৬০ কিলােগ্রাম / মহিলা:৪৬-৫৯ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫১-৬৪ কিলােগ্রাম / মহিলা:৪৮-৬১ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৫৩-৬৬ কিলােগ্রাম/ মহিলা:৪৯-৬৩ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা:৫ ফুট ৫ ইঞ্চি-> পুরুষ:৫৫-৬৮ কিলােগ্রাম/ মহিলা: ৫১-৬৫ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি-> পুরুষ:৫৬-৭০ কিলােগ্রাম/ মহিলা: ৫৩-৬৭ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৭ হাঞ্চ-> পুরুষ: ৫৮-৭২ কিলােগ্রাম / মহিলা: ৫৪-৬৯ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬০-৭৪ কিলােগ্রাম/ মহিলা:৫৬-৭১ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬২-৭৬ কিলােগ্রাম/ মহিলা: ৫৭-৭১ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৪-৭৯। কিলােগ্রাম/ মহিলা:৫৯-৭৫ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৫-৮১ কিলােগ্রাম/ মহিলা: ৬১-৭৭ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৬ ফুট ১ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৯-৮৬ কিলােগ্রাম / মহিলা: ৬৫-৮২ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৬ ফুট ২ ইঞ্চি-> পুরুষ:৭১-৮৮ কিলোগ্রাম / মহিলা: ৬৭-৮৪ কিলােগ্রাম।
উচ্চতা: ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি-> পুরুষ: ৬৭-৮৩ কিলােগ্রাম / মহিলা: ৬৩-৮০ কিলােগ্রাম।শিমুল গাছের উপকারীতা ও ব্যবহারঃ
শিমুল গাছের পরিচয়ঃ সাধারণ গ্রাম বাংলার শিমুল গাছ দেখা । যায়। শিমুল গাছ বা শিমুল ফুল চেনে না 'এমন লােক অনেক কম আছে। শিমুল। গাছের ইংরেজি নাম Silk Cotton। এটি উচচতা 15 থেকে 20 মিটার। শিমুল গাছ ছােট ছােট কাটা যুক্ত। শিমুল কাছের ফুল খুবই প্রসিদ্ধ আমাদের দেশে শিমুল গাছ থেকে তুলাও হয়।
শিমুলের ব্যবহারঃ
ফোড়াঃ
ফোড়া হলে শিমুল গাছের ছাল ধুযে বেটে ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়।
যৌবনকালে শুক্রাল্পতাযঃ চারা শিমুলগাছের মূল বেটে ৭ থেকে ১০ গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু'বেলা খেলে শুক্রাল্পতা দুর হবে।
'প্রৌঢ় অবস্থায় শুক্রাল্পতায়ঃ চারা শিমুল গাছের নরম মূল চাকা-চাকা করে কেটে শুকিয়ে নিন। এবার ভালােভাবে চূর্ণ করে ছেকে একটা। শিশিতে ভরে রাখুন। সে চুর্ণ দেড় থেকে দুগ্রাম মাত্রায় নিয়ে এককাপ দুধের সাথে খাবেন, এতে প্রচুর উপকার হবে।
প্রদরেঃ শিমুলের কচি মূল গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিন। নামাবার সময় তাতে সামান্য সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে দিন। এবার দেড় গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দু'বেলা খাবেন প্রদরে খুব উপকার হয়।
প্রদরেঃ শিমুলের কচি মূল গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিন। নামাবার সময় তাতে সামান্য। সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে দিন। এবার দেড় গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দু'বেলা খাবেন। প্রদরে খুব উপকার হয়।
পােড়া ঘাযেঃ শিমুল তুলা নিয়ে তাতে শিমুল গাছের ছাল অথ্যাৎ মােচরন্স দিয়ে ভিডিযে। পােড়া ঘায়ে দিন, ঘা সেরে যাবে।
রক্ত আমাশযেঃ শিমুলের ছাল চূর্ণ করে এক থেকে দুই গ্রাম মাত্রায় নিয়ে, ছাগল দুধের সাথে মিশিযে দু বেলা খাওয়ালে উপকার হবে।
ক্যালসিয়ামঃ
ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দাঁত এবং হাড় গঠনের জন্য শিশুর বাড়ন্ত বয়সে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। দুধ, টক দই, পালং শাক, বিভিন্ন ফলমূল, বিভিন্ন ধরণের শাক থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
আয়রনঃ
সস রক্ত গঠনের জন্য আয়রন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে অক্সিজেন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পরিবহন করার আয়রনের প্রধান কাজ। মাংস, কলিজা, মাছ, বিনস, বাদাম ইত্যাদি আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।
প্রােটিনঃ
শরীরে কোষ গঠন, ইনফেকশন দূর, শক্তি প্রদানসহ প্রােটিন শরীরের নানা কাজ করে থাকে। আপনার বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য তালিকায় এর এক বা একাধিক অবশ্যই থাকা চাই। তবে শিশুকে বেশি পরিমাণ লাল মাংস খেতে দেওয়ার চেয়ে মাছ, ডিম, দুধ, সবজি বেশি পরিমাণে খেতে দিন।
ফ্যাটঃ
ফ্যাট শিশুর শক্তির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শিশুর খাদ্যতালিকায় ফ্যাটও অবশ্যই থাকতে হবে। শিশু মােটা হয়ে যাচ্ছে এই ভেবে শিশুকে ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখা উচিত নয়। ফ্যাট শরীরের অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কাজে লাগাতে সাহায্য করে দুগ্ধ জাতীয় খাবার, বাদাম, মাছ, মাংস ইত্যাদি৷
কার্বোহাইড্রেটঃ
কার্বোহাইড্রেট মূলত শরীরে শক্তি যােগানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটি ফ্যাট এবং প্রােটিন কাজে লাগিয়ে শরীরে নতুন টিস গঠন করতে সাহায্য করে। রুটি, আলু, ভাত, পাস্তা, সিরিয়াল ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার।
ভিটামিন বি১২ঃ
স্বাস্থ্যকর মেটাবলিজম তৈরিতে ভিটামিন বি বেশ কার্যকর। শিশুর বেড়ে উঠার সময় খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। বিশেষত ভিটামিন বি১২ খাবার রাখুন।
ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সিঃ
চোখের দৃষ্টি ঠিক রাখার জন্য, তার যথাযথ বৃদ্ধির জন্য এবং রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন 'এ'র কোন বিকল্প নেই। রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সর্দি, ঠান্ডা দূর করা, ক্ষত দ্রুত ভাল করতে ভিটামিন সি অনেক গরত্বপর্ণ। এছাড়া দাঁত এবং হাড় গঠন করতে সাহায্য করে। পেয়ারা, কমলা লেবু, কামরাঙা, স্ট্রবেরি, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পাকা আম, পাকা পেঁপে, আম, তরমুজ, মাছের তেল, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় রাখুন এক খাবারগুলাে সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে ভুলবেন না যেন।
0 মন্তব্যসমূহ