'মাথা
নোয়াবার নয়, বাঙ্গালি যেহেতু; বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন দেশ, তুমি দিলে পদ্মা
সেতু' থিম সংয়ের মধ্যে দিয়ে দেশ পেল অনন্য এক উপহার-পদ্মা সেতু। খুলে গেল
বাঙালির স্বপ্নের দুয়ার।
বেলা ১১টা ১২ মিনিটে মাওয়া পয়েন্টে
নির্ধারিত টোল পরিশোধের মাধ্যমে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের পর
আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এর
আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সুধী সমাবেশের মঞ্চ থেকে শনিবার সকাল ১১টায় অনেক
গর্বের এই সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সেখানে বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মারক নোট অবমুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে
প্রধানমন্ত্রীকে সেতুর একটি রেপ্লিকা উপহার দেওয়া হয় প্রকল্পের ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। পরে দক্ষণ এশিয়ার সবচেয় বড় সেতু, পদ্মা সেতু
নির্মানের সাথে যুক্ত প্রকৌশলী, কলাকুশলীদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন
প্রধানমন্ত্রী।
বেলা ১১টায় মাওয়া পয়েন্টে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তারপর
প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল পরিশোধ করে গাড়ী নিয়ে সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন
সরকারপ্রধান। সেখানে পদ্মা সেতুর ফলক উন্মোচন করে তিনি উদ্বোধনের
আনুষ্ঠানিকতা সারেন। মেয়ে সায়েমা ওয়াজেদের সঙ্গে তাকে সেলফিবন্দি হতেও দেখা
যায়।
প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত থেকে মাদারীপুরের
শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে যাবেন। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায়
যোগ দেবেন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া
হয়েছে। বিশাল সমাবেশে প্রায় ১০ লাখ মানুষ যোগ দেবে বলে জানিয়েছেন
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক।
জনসভা শেষে জাজিরা প্রান্তের সার্ভিস এরিয়া-২ তে যাবেন। সেখান থেকে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে আসবেন।
এর
আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে
রওনা হয়ে ঠিক ১০টায় মাওয়ায় আয়োজিত সুধী সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান
প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সেতুর উদ্বোধন হলেও পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে রোববার।
প্রায়
সাড়ে তিন হাজার অতিথিকে মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশের জন্য আমন্ত্রণ
জানানো হয়েছে। সেতুর টোল প্লাজার কিছুটা আগে এক পাশে অস্থায়ী প্যান্ডেল করে
অতিথিদের বসার ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ
নেতা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সুধী সমাবেশ স্থলে পৌঁছেছেন আগেই।
যেভাবে থরে থরে হল পদ্মা সেতুঃ
পদ্মা
সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতা। স্বপ্ন ছিল, সেই লক্ষ্যে প্রতীজ্ঞা ছিল সেই
কারণেই নিজ অর্থায়নে দৃশ্যমান হলো দেশের আলোচিত এই সেতুটি। স্বপ্নের পদ্মা
সেতু নির্মাণের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। একদিকে প্রমত্তা পদ্মার বুকে সেতু
নির্মাণের জটিল প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে দেশের একটি স্বার্থান্বেষী
মহলের ষড়যন্ত্র, সব মিলিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই থরে থরে নির্মিত হয়েছে
স্বপ্নের এ সেতু।
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত বহুমুখী সড়ক ও রেল
সেতু 'পদ্মা সেতু'। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে
শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত
ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক
রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০
মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। নিজস্ব অর্থায়নে
তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা এটি। এ সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০
হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
নকশাঃ
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ
নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি
দল তৈরি হয়। বাংলাদেশের প্রথম বৃহৎ সেতু প্রকল্প যমুনা বহুমুখী সেতু
প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করা হয়। অধ্যাপক জামিলুর
রেজা চৌধুরীকে ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। এ
প্যানেল সেতুর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তা, নকশা
পরামর্শক ও উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে।
কর্মপরিকল্পনাঃ
পদ্মা
সেতুর ভৌত কাজকে মূলত পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করা হয় যথা— (ক) মূল সেতু, (খ)
নদী শাসন, (গ) জাজিরা সংযোগকারী সড়ক, (ঘ) টোল প্লাজা ইত্যাদি। মাওয়া
সংযোগকারী সড়ক, টোল প্লাজা ইত্যাদি এবং মাওয়া ও জাজিরা সার্ভিস এলাকা।
প্রকল্পে নিয়োজিত নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান 'মনসেল-এইকম' ভৌত কাজের
ঠিকাদার নিয়োগের প্রাক-যোগ্যতা দরের নথি প্রস্তুত, টেন্ডার আহ্বানের পর
টেন্ডার নথি মূল্যায়ন, টেন্ডার কমিটিকে সহায়তাসহ এ-সংক্রান্ত যাবতীয়
কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল নকশা পরামর্শক
প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারক করত। ভৌত কাজের বিভিন্ন প্যাকেজের জন্য দরপত্র
মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক
ছিলেন কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি।
পাইলিং
প্রথম দিকে
সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি খুঁজে
পেতে বেগ পেতে হয়। তলদেশে স্বাভাবিক মাটি পাওয়া যায়নি। সেতুর পাইলিং কাজ
শুরুর পরে সমস্যা দেখা যায়। প্রকৌশলীরা নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায়
মাটির বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথার চেষ্টা করে। স্ক্রিন গ্রাউটিং
নামের এই পদ্ধতিতেই বসানো হয় পদ্মাসেতু। এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইপের
ছিদ্র দিয়ে রাসায়নিক নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়।
তারপর ওই মাটিতে পিলার গেঁথে দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে পাইলের সঙ্গে স্টিলের
ছোট ছোট পাইপ ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়। পাইপের ভেতর দিয়ে এক ধরনের
কেমিক্যাল পাঠিয়ে দেওয়া হয় নদীর তলদেশের মাটিতে। কেমিক্যালের প্রভাবে
তখন তলদেশের সেই মাটি শক্ত রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে সেই মাটি পাইলের লোড
বহনে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন আর পাইল বসাতে কোনো বাধা থাকে না।
নির্মাণ ব্যয়
পদ্মা
সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব
খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি
অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের
সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি
টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে
সেতু কর্তৃপক্ষ।
নির্মাণের সময়ক্রমঃ
মূল সেতুর জন্য চীনের
মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনকে নিযুক্ত করা হয়। চীনের সিনোহাইড্রো
কর্পোরেশন নদী শাসনের কাজ করে। বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেডকে দুটি
সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়। অক্টোবর ২০১৭ সালে মূল
নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
ধাপে ধাপে যেভাবে হয় মূল কাঠামো
দ্বিতল এ
সেতু নির্মিত হয়েছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল
সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি
প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ। পিলারের ওপর ইস্পাতের যে স্প্যান বসানো হয়েছে,
এর ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। পুরো সেতুতে মোট
পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই
দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতুটি নির্মিত
হয়েছে। ৪২টি পিলারের ওপর এ রকম ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে।
মূল সেতুতে
পাইল রয়েছে ২৬৪টি। নদীর ভেতরে ও দুই প্রান্তে সেতুর ৪২টি পিলারের নিচে
পাইপের মতো দেখতে পাইলগুলো বসানো হয়েছে। নদীর পাইলগুলো ভেতরে ফাঁকা,
ইস্পাতের তৈরি। প্রতিটি পাইলের ব্যাসার্ধ তিন মিটার। পুরুত্ব ৬২ মিলিমিটার।
একেকটি পিলারের নিচে ছয় থেকে সাতটি পাইল বসানো হয়েছে। এই পাইল নদীর
তলদেশের মাটি থেকে সর্বোচ্চ ১২৫ দশমিক ৪৬ মিটার (প্রায় ৪১২ ফুট) গভীরে
বসানো হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পদ্মা
সেতুতে পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে
৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে এই স্প্যান বসানো হয়।
১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১
নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান
বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। ২০১৮ সালের
জানুয়ারি মাসে জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ শেষ স্প্যান বসে। ২৮
জানুয়ারি পদ্মা সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান ৭বি
সুপার স্ট্রাকচার বসানো হয়। প্রথম স্প্যান বসানোর প্রায় চার মাস পর
জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে তিন হাজার ১৫০ টন ধারণ ক্ষমতার এ স্প্যান বসানো
হয়। মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর বসে সপ্তম স্প্যান। এভাবে
ধাপে ধাপে সম্প্যান বসিয়ে ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩তম পিলারে ৪১তম
স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পুরো পদ্মা সেতু।
পদ্মা সেতুর
বুকে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ প্রথম প্রি-কাস্ট রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়। এরপর
সেতুর বুকে একের পর এক রোডওয়ে স্ল্যাব বসতে থাকে। পদ্মা সেতুর সড়ক পথের ২
হাজার ৯১৭টি স্ল্যাবের সবগুলো বসানো শেষ হয় ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট।
২০২২ সালের ৪ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ধাপে ধাপে সেতুর ৪১৫ বাতির পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৪ জুন একযোগে সবগুলো বাতি জ্বালানো হয়।
প্রায়
আট বছরের নির্মাণ কাজ শেষে পদ্মার বুকে গড়ে উঠেছে ৬ দশমিক ১৫০ কিলোমিটার
দৈর্ঘ্য এবং ১৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
চুক্তিবদ্ধ সংস্থাঃ
২০১৪
সালের ১৭ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও চায়না মেজর
ব্রিজ কোম্পানির মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা
হিসেবে চীনের কোম্পানিটি পদ্মাসেতু নির্মাণের দায়িত্ব পায়। পদ্মা সেতু
নির্মাণে ২০১০ সালে প্রথম দরপত্র আহবান করা হলে সেখানে প্রাক-যোগ্যত
অর্জনের জন্য ৪০টি কোম্পানি অংশ নেয়। বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও এডিবির
তত্ত্বাবধানে এদের মধ্যে ৫টি কোম্পানিকে বাছাই করা হয়। পরে বিশ্বব্যাংকের
আপত্তির কারণে একটি কোম্পানি বাদ পড়ে যায়। আর্থিক প্রস্তাব আহ্বান করলে
শুধুমাত্র চীনের এই কোম্পানিটি আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়। কোম্পানিটি
চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের অধীনস্থ।
২০২২ সালের এপ্রিলে সেতু
বিভাগের অধীনে, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পদ্মা বহুমুখী সেতুর
রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন ও চায়না মেজর
ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি লিমিটেডকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
টোলঃ
২৮
এপ্রিল ২০২২ সালে সেতু মন্ত্রণালয় পদ্মা সেতুর জন্য টোলের হার প্রস্তাব
করে ও তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠায়। ১৭ মে
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোলের
হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
যাবতীয় আপডেট তথ্য সম্পর্কে জানুনঃ
আরো যাবতীয় আপডেট তথ্য সম্পর্কে জানুনঃ
শিক্ষা বিষয়ক আপডেট তথ্য
স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট তথ্য
সরকারি চাকরির খবরাখবর
বেসরকারি চাকরির খবরাখবর
চাকরির প্রস্তুতি
জীবন যুদ্ধে ঠিকে থাকতে অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি ও বাণী
অনলাইন লেখাপড়া
জানা উচিতযাবতীয় আপডেট তথ্য
0 মন্তব্যসমূহ