প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত মােটা হওয়ার কার্যকরী ১০টি টিপসঃ

 

দ্রুত মােটা হওয়ার কার্যকরী ১০টি টিপসঃদ্রুত মােটা হওয়ার কার্যকরী ১০টি টিপসঃ

পৃথিবী জুড়ে যেখানে রােগা হওয়ার ধুম, সেখানে মােটা হওয়ার টিপস? খুব অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? আপনি অবাক হলেও, অনেকেই কিন্ত হবেন না। বরং এই ওজন বাড়াবার টিপস গুলাে তাঁর জন্য এক রকম স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনবে।

শারীরিকভাবে ক্ষীণকায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই শােনা যায় কীভাবে যে মােটা হওয়া। যায়, এত খাই কিন্তু মােটা হতে পারি না।

আমরা সবাই ওজন কমানাের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু কখনও খেয়ালও থাকে না যে এই পৃথিবীতে এমনও কিছু মানুষ আছে যারা। ওজন বাড়ানাের জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন।

অনেকেই আছেন যাদের একটুখানি খেলেও যেন ওজন বাড়ে। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা শতগুণ খেলেও তাদের ওজনের খুব একটা হেরফের হয় না, রােগা-পটকাই থেকে যান। আন্ডার-ওযেট শরীর হলে অবশ্য চেষ্টা ভালাে লাগে না, চেহারা ভেঙে যায়। মেয়েদের শরীর যেমন এতে ঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না, তেমনই ছেলেদের দেখতেও ভীষণ বাজে লাগে।


এমতাবস্থায় ওজন বাড়ানাের জন্য বেশি কিছু নয় শুধু নিয়ম করে কিছু খাওয়া প্রযােজন যেন খাবারটি আপনার শরীরে ঠিকমত লাগে।

আপনাদের জন্য রইল ওজন বাড়ানাের ১০টি উপায়ঃ

১. সকালে উঠে বাদাম ও কিসমিস

ওজন বাড়ানাের জন্য বাদাম আর কিসমিসের বিকল্প নেই। রাতে ঘুমাবার সময় অল্প জলে আধ কাপ কাঠ বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেগুলাে ফুলে উঠলে খেযে নিন।

২. খান প্রচুর শাক সবজি ও ফলমূল

ভাবছেন এগুলাে তাে ওজন কমাবার জন্য খাওয়া হয়, তাই না? ওজন বাড়াতেও কিন্তু আপনাকে সাহায্য করবে এই ফল আর সবজি। এমন অনেক ফল আর সবজি আছে যারা কিনা উচ্চ ক্যালােরি যুক্ত। আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পাকা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি খেলে ওজন বাড়বে।

যদি এইসব না করেও আপনার ওজন না বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই একজন ভালাে। ডাক্তারের সাথে যােগাযােগ করুন। কেননা কোনও সুপ্ত অসুখ থাকলেও তার ফলে রুগ্ন ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।

৩. খাবারের পরিমাণ বাড়ান

খাবারের পরিমাণ বাড়ানাে মানেই একগাদা খেয়ে ফেলা নয়। আপনি যদি কম খাওয়ার। কারণে রােগা হয়ে থাকেন, তাহলে খাবারের পরিমাণ আপনাকে বাড়াতেই হবে। স্বাভাবিকভাবে যা খেয়ে থাকেন, তার ৪ ভাগের ১ভাগ পরিমাণ খাবার বাড়িয়ে খান প্রতিদিন।

৪. বারবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন

অনেকেই ভাবেন যে বারবার খেলে বুঝি ওজন বাড়বে। এটা মােটেও সঠিক না। বরং নিয়ম মেনে পেট পুরে খান। পেট পুরে খাওয়া হলে মেটাবলিজম হার কমে যায়, ফলে খাবারের ক্যালােরির অনেকটাই বাড়তি ওজন হয়ে শরীরে জমবে। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াটা মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, ফলে ওজন কমে


৫.ডুবাে তেলে ভাজা খাবার

ডবাে তেলে ভাজা খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। ফলে সেটা ওজন বাড়াতে সহায়ক। তবে সাথে রাখুন প্রচুর তাজা শাক সবজির স্যালাড।

 

৬. জিমে যাওয়া অভ্যাস করুন

ভাবছেন জিমে মানুষ যায় ওজন কমাতে, বাড়ানাের জন্য কেন যাবেন? কিন্তু আসল কথাটা হলাে, কেবল মােটা হলেই হবে না। সাথে তৈরি করতে হবে সুগঠিত শরীর।

আপনি জিমে যাবেন পেশী তৈরি করতে, এবং পুরুষেরা ওজন বাড়াতে চাইলে এই জিমে যাওয়া আসলে খুবই ফলদায়ক। পেশীর ওজন চর্বির চাইতে অনেক বেশী তাে বটেই, তাছাড়া ব্যায়ামের ফলে খিদেও পাবে আর মন ভরে খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ট্রেনারের নির্দেশে ব্যায়াম করতে হবে। নাহলে হিতে বিপরীত হবার 

৭. খান “ফ্যান” ভাত

অধিকাংশ মানুষই ভাতের ফ্যান ফেলে দেয়। ফ্যান ফেলে দিয়ে ভাতের স্টার্চের অনেকটাই চলে যায় ফ্যানের সঙ্গে। ওজন বাড়াতে চাইলে ভাতের ফ্যান না ফেলাই ভালাে। এর ফলে ভীষণ উপকার হবে ওজন বাড়াতে। আতপ চালের ফ্যান ভাত মজাও লাগবে খেতে।

৮. ঘুমাবার ঠিক আগেই দুধ ও মধু

ওজন বাড়াবার জন্য একটা একটা অব্যর্থ কৌশল। রাতের বেলা ঘুমাবার আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন। ঘুমাবার আগে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘন দুধের মাঝে বেশ অনেকটা মধু মিশিয়ে খেয়ে নেবেন।

৯. কমান মেটাবলিজম হার

মােটা হবার পেছনে যেমন ধীর গতির মেটাবলিজম দায়ী, তেমনি রুগ্ন স্বাস্থ্যের পেছনে দায়ী উচ্চ মেটাবলিজম হার। সুতরাং মােটা হতে গেলে প্রথমেই এই মেটাবলিজম হার। কমাতে হবে। তাতে আপনি যে খাবারটা খাবেন, সেটা বাড়তি ওজন রূপে আপনার শরীরে জমার সুযােগ পাবে। মেটাবলিজম হার কম রাখার জন্য প্রতিবেলা খাবারের পর লম্বা সময় বিশ্রাম করুন। খাবার পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা কোনও কাজ করবেন না।

১০. খাদ্য তালিকায় কিছু বিশেষ খাবার

আপনার নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি অবশ্যই কিছু উচ্চ ক্যালােরি সম্পন্ন খাবার যােগ করতে হবে খাদ্য তালিকায়, নাহলে ওজন বাড়বে কেন? উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে এই খাবার গুলাে খেতে পারেন। অনায়াসে। যেমন- ঘি/ মাখন, ডিম, চিজ/ পনির, কোমল পানীয়, গরু-খাসির মাংস, আলু ভাজা, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকলেট, মেয়নিজ ইত্যাদি

 

দ্রুত মােটা হওয়ার কিছু খাদ্যঃ

স্বাস্থ্যকর খাবার খান:

আপনি হয়ত প্রচুর পরিমাণে খাচ্ছেন তারপরও আপনার স্বাস্থ্য ঠিকমত বাড়ছে না। তার কারণ হল আপনি খাচ্ছেনকিন্তু ঠিক নিয়ম করে সঠিক খাবারটি খাচ্ছেন । 

খালি পেট ভরে এটা সেটা খেলেই হবে । খেতে হবে উপযুক্ত খাবারটি। আপনার শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রােটিন, কার্বন এবং ফ্যাট এর প্রযােজন হয় প্রতিদিন। এর জন্য প্রতিদিন বাদাম এবং দুগ্ধজাত খাবার খান।


 

১। চিনাবাদামের মাখনঃ

সকালের নাস্তায় রুটিতে হালকা করে ' চিনাবাদামের মাখন মেখে খেতে ।

পারেন। এটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি দিবে প্রায় ১৯২ ক্যালরি!

 

২| একটা গােটা ডিমঃ এটি প্রােটিন ও তিন রকমের ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে আছে ভিটামিন A,D,E এবং প্রচুর পরিমাণ কলেস্টেরল |


৩। বাদামও মধুসমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মধু 'সমৃদ্ধ খাবার আপনার নাস্তার তালিকায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন প্রায় ৫০০ ক্যালরি। ' এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা । আপনার সকালের নাস্তাকে সু-স্বাদু করে তুলবে।

৪া মাখনঃ

মাখন আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। 

তবে মাখন খেতে হবে পরিমাণ মত। কারন প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে।

৫l বন রুটিঃ বন রুটিতে থাকছে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট

৬া ভুট্টা রুটিঃ ভুট্টার রুটি খেতে পারেন সকালে বা

বিকেলে। ভুটাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আপনি সুপের সাথে ভুট্টার রুটি খেতে পারেন।

৭| পনিরঃ এক চামচ পনিরে থাকে ৬৯ ক্যালরি শক্তি পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে তাই

এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল

৮| ফলের রসঃ

ফলের রস হচ্ছেওজন বাড়ানাের স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর পথ|

 '১০০% ফলের রস আপনার শরীরে ' দেবে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পুষ্টি।

৯৷ পাস্তা ও নুডুলসঃ

পাস্তা ও নুডুলস খাদ্য শস্য ও শর্করার। একটি ক্যালােরি সমৃদ্ধ খাদ্য যােগান।

৯। পাস্তা ও নুডুলসঃ

পাস্তা ও নুডুলস খাদ্যশস্য ও শর্করার 'একটি ক্যালােরি সমৃদ্ধ খাদ্য যােগান। তাই এটি একটি সুস্থ এবং উচ্চ ক্যালােরি 'খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন।

১০. চিংড়িঃ

চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রযােজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য

'বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।


 

আরো পড়ুনঃ 


 

যাবতীয় আপডেট তথ্য সম্পর্কে জানুনঃ

 

কম্পিউটার ব্যবহার নিয়ে কিছু জানা-অজানা টিপস
পেয়ারার ২৪টি ঔষুধি গুনাগুন জেনে নিনঃ
জিরা এর ১৮টি ঔষধীয় গুনাগুন জেনে নিনঃ
জমির রেকর্ড বা খতিয়ানের ভুল সংশোধনের পদ্ধতিঃ
গুরুত্বপূর্ণ শটকার্ট ব্যবহারঃ MS Word Keyboard Shortcut Keys:


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ