উপায়-১
ঘুম থেকে ওঠা: এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন- আমরা দেরি করে উঠি। তারপর সময় না পাওয়ার বাহানা খুঁজি সারা দিন। এ দিকে যে কোনও সফল মানুষকে আপনি দেখবেন তাড়াতাড়ি। ঘুম থেকে উঠতে। আপনিও আদ থেকে এক ঘন্টা এগিয়ে আনুন ঘুম থেকে ওঠার সময়। দেখবেন দিনটা অনেক বড় হয়ে। যাবে। প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।
ভালাে ঘুম: ভালােভাবে ঘুমের ওপর নির্ভর করে অনেকেরই স্বাস্থ্যগত উন্নতি ও মানসিক সুস্থতা দেখা যায়। এ কারণে যাদের ভালাে ঘুম হয় তাদের সাফল্যও বেশি থাকে।
রাত জাগবেন না: তাড়াতাড়ি ঘুমােতে যান। সুস্থ, সবল থাকতে রাতের ঘুম প্রয়ােজনীয়। অকারণে তাই রাত জাগবেন না। ল্যাপটপ বা মােবাইলে গল্প করে সময় নষ্ট করবেন না রাতে। প্ল্যান করে কাজ করলে রাত জেগে আপনাকে ফেলে রাখা কাজও করতে হবে না।
উপায়-২
ভিশুয়ালাইজ: নিজে জীবনে কী করতে চান সেই বিষয়ে যদি আপনার স্বচ্ছ ধারনা থাকে তবেই আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের পুরাে দিনটা মনে মনে ছকে ফেলুন। সারা দিনে কী করতে চান, কোন কাজটা আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে তা মনে মনে ভেবে নিন। নিজেকে সফল ভাবতে শিখুন।
চেক লিস্ট: গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রাখবেন না। আমরা কাজ ফেলে রাখি যতক্ষণ না সেটা আবশ্যিক হয়ে পড়ে। রােজ কী কী করবেন চেক-লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। শুনতে জ্ঞানগর্ভ লাগলেও এটা অত্যন্ত ভাল অভ্যাস।
ব্রেকফাস্ট: সারা দিন আপনার মুড ভাল রাখতে, আপনার এনার্জি বাড়াতে কিন্তু সকালে ঠিক করে খাওয়া প্রযােজন। এ দিকে রােজ সকালে দেরিতে ওঠার জন্য আপনি ব্রেকফাস্টের সময়ই পান না। ব্যস্ততার দোহাই দেবেন না। সফল মানুষরা কিন্তু কখনই ব্রেকফাস্ট বাদ দেন না। তাই রােজ উপভােগ করে ব্রেকফাস্ট করুন।
বাড়ির খাবার খান: অফিসে খাওযার জন্য বাড়ি থেকে লাঞ্চ, স্ন্যাকস নিয়ে যান। সফল হতে গেলে সুস্থ থাকতে হবে। তাই বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির রান্না স্বাস্থকর খাবার খান। এতে সময়ও বাঁচবে। কাজের ফাঁকেই খেযে নিতে পারবেন ফলে খাওয়ার সময়ই ঠিকঠাক থাকবে।
উপায়-৪
নিজেক মােটিভেট করুন:আলস্য পেয়ে বসতে দেবেন না। সব সময় নিজের লক্ষ্য সামনে রাখুন। হাসির ছবি দেখুন, মন ভাল করে এমন কাজ করুন, রিল্যাক্স করুন। যাতে চাপ কমে এমন কাজ করুন। এই ভাবে নিজেকে মােটিভেট করুন। স্ট্রেস ধারে কাছে ঘেঁষতে দেবেন না।
সক্রিয় থাকুন: ঘুম থেকে উঠেই কাজ শুরু করতে সমস্যা হয়। বাড়ি ফিরেও ক্লান্ত লাগে। হালকা শরীরচর্চা তাই আপনাকে সক্রিয় রাখতে জরুরি। রােজ ঘুম থেকে হালকা ব্যয়ামের রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে পেশির শিথিলতা । বাড়বে, রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়ে আপনার কর্মক্ষমতা বাড়বে।
বর্তমানকে গুরুত্ব দিন: অধিকাংশ পেশাদারেরই ধারণা নিয়মিত চাকরি। | পরিবর্তনেই উন্নতি করা সম্ভব। যদিও এটি সবক্ষেত্রে কার্যকর নয়। এর বদলে বর্তমান চাকরিতেই চ্যালেঞ্জিং কাজ গ্রহণ করে উন্নতি করা সম্ভব। এজন্য সঠিক সুযােগের প্রতীক্ষায় থাকতে হবে এবং বর্তমান সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে।
উপায়-৫
অপ্রয়ােজনীয় জিনিস বাদ দিন: আপনার ঘর কি অগােছালাে? অফিসের ডেস্কে প্রচুর ফালতু কাগজ? অপ্রয়ােজনীয় জিনিস ফেলে দিন। বাজে কাগজ বেশি থাকলে কাজের। জিনিস খুঁজে পাবেন না। অন্য দিকে ঘর অগাছালাে থাকলে আপনার কাজের এনার্জিও কমবে।
কথা কম বলুন: কথা কম কাজ বেশি। ছােটবেলা থেকেই শুনে এসেছেন এটা। আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। সফল মানুষরা কথা কম বলেন। চুপচাপ থাকলে মনসংযােগ বাড়ে, নিজের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার কাজের মান বাড়বে।
একই মানসিকতার মানুষের সান্নিধ্যে থাকুন: আপনার চারপাশে সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের ঘােরাফেরা করে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন নন। নির্দিষ্ট কোনও গতিতে তাঁদের জীবনটা চলে না। এই ধরনের মানুষকে এড়িয়ে চলুন। যাঁদের নিজেদের লক্ষ্য স্থির, যাঁরা সাফল্যকে ছুঁতে দৃঢ় প্রত্যয়ী, তাঁদের সঙ্গে মিশুন, কথা বলুন। আপনিও সাফল্যকে ছুঁতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবেন। দ্রুত সফলতা অর্জনের জন্যে এ পথের কোন বিকল্প নেই।
উপায়-৬
আত্মবিনিয়ােগ করুন: আত্মবিনিয়ােগ। অর্থ আপনি যে কাজটি করছেন, তাতে মনপ্রাণ ঢেলে দেয়া। কাজে মনপ্রান ঢেলে দিলে আমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকে। আর কোন কাজ আত্মবিশ্বাসের সাথে করলে মন দিয়ে করলে সেই কাজ ভালাে ভাবে সম্পাদন হয় এবং সেই কাজে সাফল্য আসেই। কথায় বলে, ফলের আশা করবেন না, কাজ করে যান। কিন্তু বাস্তব বলছে, আপনি যদি সত্যিই কাজের মধ্যে নিজেকে সঁপে দেন, তাহলে ফলও পাবেন হাতেনাতে।
শিক্ষা গ্রহণ করুন ও প্রশিক্ষণ নিন: পেশাগত জীবনের উন্নতির জন্য সব সময় শিক্ষা গ্রহণ করা প্রযােজন। এছাড়া রয়েছে প্রশিক্ষণের প্রযােজনীয়তা। নিয়মিত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেশাগত জীবনে উন্নতির জন্য সহায়ক।
প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং: পেশাগত জীবন শুধু নিজের অভ্যন্তরের উন্নতির ওপরই নির্ভর করে না। এজন্য তৈরি করতে হয় নিজস্ব পরিচিত মানুষদের একটি নেটওয়ার্ক। এ নেটওয়ার্ক ছাড়া পেশাগত উন্নতি অনেকের পক্ষেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
উপায়-৭
সঞ্চয় করুন: সঞ্চয় আপনার জীবনের যেকোন সময় অনেক গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা | পালন করতে পারে। আপনি মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করুন, তা আপনার পক্ষেই লাভজনক। সঞ্চয় করাটা অভ্যাসে পরিণত করুন। খুব অল্প বয়সে ধনী হতে পারবেন।
জ্ঞান বিনিময়: জ্ঞান হলাে একটি সম্পদ। এ সম্পদ আপনি যত বেশি বিনিময় করবেন ততই তা সমৃদ্ধ হবে। কারাে যদি কোনাে তথ্য প্রযােজন হয়; আপনার জানা থাকলে তা তাকে জানিয়ে দিন। প্রযােজনে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন। এতে উভযেই উপকৃত হবেন।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা: যাদের মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা বেশি তারা স্বভাবতই নেতৃত্বের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকেন। এ কারণে দেখা।যায় মানসিক চাপ যাদের ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না তারা উচ্চতর অবস্থানে চলে যান।
বুদ্ধি খাটিয়ে ইনভেস্ট করুন: বিনিযােগের ক্ষেত্রে বুদ্ধিই হলাে মূল। মূলধন। কেননা চিন্তা ভাবনা না করে বােকার মত ভুল জায়গায় বিনিয়ােগ করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে এইটাই স্বাভাবিক। তাই কোথায় কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে লভ্যাংশের কিছু অংশ আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে সে ব্যাপারে নিজেকে তৈরি করে নিন। নিজের বুদ্ধি এবং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন। এবং এমন স্থানে করুন যাতে আপনাকে লসের মুখে পরতে না হয়।
উপায়-৮
প্রতিটি অর্থের হিসেব রাখুন: কোথায়, কখন, কি কারণে কতােটা অর্থ ব্যয় করছেন তার প্রত্যেকটির হিসাব রাখুন। বেহিসেবি অর্থ ব্যয় করে কখনােই ধনী হওয়া সম্ভব নয়। হয়তাে মানুসগ আপনাকে কিপটে বলতে পারেন। কিন্তু তারপরও নিজের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে একটু টিটকারি হজম করে নিন।
সাহস করে ঝুঁকি নিন: ভুল হােক। আবার ঝুঁকি নিন। এভাবেই নিজের। ওপর বিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন। বিশ্বাস থেকে সরে যাবেন না কখনাে। তবে অধিকাংশ মানুষ অবিবেচনাপ্রসূত। অথবা সাধ্যের অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ফেলে, যা তাদের নেয়া উচিত নয়। তার বদলে স্মার্ট ঝুঁকি নিতে হবে, যা বাস্তবে পূরণ করা সম্ভব। নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যান। ভুল হলেও তা স্বাভাবিক। আঘাত না পেযে কেউ সামনে এগােতে পারে না।
উপায়-৯
কাজের জায়গায় সৎ থাকুন: সততার সাথে কাজ করে যান। কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে যান। | আপনাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা সঠিকভাবে পালন করুন। আপনার | কাজে দিয়ে বসকে জানান দিন যে। আপনি কাজের প্রতি কতটা আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। এভাবে বস আপনার ওপর সন্তুষ্ট হবেন এবং সুযােগ সুবিধা বাড়িয়ে দেবেন।
সব সময় সহজ পথ খুঁজতে যাবেন না: জীবনে উন্নতি করতে চাইলে কোনাে। সােজা পথে হাঁটলে চলবে না। আমাদের অনেকের মধ্যে এই জিনিসটি রয়েছে। আমরা যে কোনাে কিছু করার আগে সােডা ভাবে অন্য কোনাে উপায় আছে কিনা তা নিয়ে চিন্তা করি। কঠিন হলে কাজটি করতে চাই না। এতে করে জীবনে সফল হওয়া থেকে আপনি নিজেকেই নিডে বঞ্চিত করছেন। সব সময় সহজ উপায় খোঁজা একেবারেই উচিত নয়।
উপায়-১০
আবার চেষ্টা করুন; সফল হতে হলে। প্রযােজন অদম্য চেষ্টার। আপনার নতুন গােল, নতুন পরিকল্পনা নিয়ে অবিরাম কাজ করে যান। তবে কাজ শুরু করে তার কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সফলতার কথা চিন্তা করবেন না। এটা বােকামী ছাড়া অন্য কিছু নয়। সফলতার জন্য নির্দিষ্ট সময় প্রযােজন। কৃষক যখন নির্দিষ্ট সময়ে জমিতে বীজ বপন করে তেমনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফসল ঘরে তােলেন, একটি শিশু জন্মের সাথে সাথেই হাঁটতে পারে না। হাঁটার জন্য উপযুক্ত বয়সের প্রয়ােজন হয়। তাই আপনাকে চূড়ান্ত সফল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং অবিরাম পরিশ্রম করে যেতে হবে।
জীবনে ব্যর্থতা থাকবেই। তাই বলে হাল ছেড়ে বসে থাকলে চলবে না। নতুন করে শুরু করতে হবে এবং কাজে সফল হওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মানসিক রােগের লক্ষণঃ
প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধি: ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমরা সব কিছু প্রত্যক্ষ করে থাকি। এই প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলে সেটাকে মানসিক রােগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উপলদ্ধিগত অস্বাভাবিকতা দুধরনের হতে পারে - ইস্যুশন ও হ্যালুসিনেশন।
আবেগের অস্বাভাবিকতা: একজন সুস্থ ব্যক্তি এবং একজন অসুস্থ ব্যক্তি একই উপায়ে তাদের আবেগ অনুভব প্রকাশ করতে পারে না। বিভিন্ন কারণে আবেগের পরিবর্তন ঘটে - তবে সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী বলা যায় না। যাদের পরিবর্তনটা স্থায়ী হয়ে পড়ে তারা। মানসিকভাবে অবশ্যই বিপর্যস্ত। কিছু কিছু বিষ্য আবেগের অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্র তৈরি
করে দেয়। যেমন: বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, বিরক্তি।
বুদ্ধি লােপ: মানসিক রােগীদের বুদ্ধি লােপ পায়। একটি জিনিসকে বিচার-বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লষণ করার ক্ষমতা তাদের কমে যায়।
স্মৃতিভ্রষ্ট: একটি লােক কোথা থেকে আসছে জিজ্ঞেস করলে ভিন্ন উত্তর পাওয়া যায়। সে ইচ্ছে করে মিথ্যে বলে না। আসলে সে নিজেই সব ভুলে যায়।
মুদ্রাদোষ: একই কথা বার বার বলা, একই অঙ্গ বার বার সঞ্চালন করাকে মুদ্রাদোষ বলে। মানসিক রােগীদের মধ্যে এই উপসর্গগুলাে পরিলক্ষিত হয়।
মানসিক রােগীদের মধ্যে এই উপসর্গগুলাে পরিলক্ষিত হয়।
মানসিক জটিলতা: এটা এমন এক অবচেতন ধারনা যা আবদমিত ইচ্ছা বা আবেগজনিত
বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যেমন: সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স, ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স, ইলেকট্রা কমপ্লেক্স, ঈপিডাস কমপ্লেক্স ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ
জৈব বা জৈব রাসায়নিক কারণে যদি মানসিক রােগ হয় তবে সে অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। অন্যদিকে ধরুন যদি সাংসারিক অশান্তি, পিতা-মাতার গােলমাল কিংবা স্কুলের চাপের কারণে মানসিক রােগ দেখা দেয় তা হলে চিকিৎসার সময় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ ধরণের রােগীর চিকিৎসার পাশাপাশি তাকে আচরণগত বিষয় উপদেশ দিতে হবে। তার সাইকো থেরাপি বা বিহেভিয়ার থেরাপির দরকার হবে।
মানসিক রােগ প্রতিহত করাও সম্ভব। রােগের বায়ােলজিক্যাল ও জেনেটিক কারণগুলাে খতিয়ে দেখার মাধ্যমে তা করা সম্ভব। সন্তান জন্মের আগে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব। করা সম্ভব সন্তান জন্মের পরও। এ ছাড়া, অন্যদিকে রােগীর পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মানসিক রােগ প্রতিহত করাও সম্ভব। রােগের বায়ােলজিক্যাল ও জেনেটিক কারণগুলাে খতিয়ে দেখার মাধ্যমে তা করা সম্ভব। সন্তান জন্মের আগে এমন ব্যবস্থা করা সম্ভব। করা সম্ভব সন্তান জন্মের পরও। এ ছাড়া, অন্যদিকে রােগীর পুনর্বাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ওষুধসহ সাইকো বা বিহেভিয়ার থেরাপির মাধ্যমে যে রােগীর রােগ মুক্ত হলাে সে যেন পুরনাে কাজে ফিরে যেতে পারে তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এই নিশ্চয়তাটি চিকিৎসার জন্য বেশ প্রয়ােজনীয় তা মনে রাখতে হবে।
তাই কারাে মনােরােগ হয়েছে শুনলে তাকে মানসিক ডাক্তার দেখাবেন। একাজে ভয়, লজ্জা বা শরমের কিছু নেই।
0 মন্তব্যসমূহ